আমরা চারজন : মূলানুগ পাঠ। মূল পাণ্ডুলিপি অনুসারে যত্ন ও মমতা নিয়ে সম্পাদনা করেছেন ভূমেন্দ্র গুহ। জানা যায়, জীবনানন্দ দাশের উপন্যাসগুলির মধ্যে এই উপন্যাসটার প্রতি তাঁর আলাদা ভালো লাগা ছিল। এটা জীবনানন্দ দাশের প্রথমদিককার উপন্যাস খুব সম্ভবত, প্রথম উপন্যাসও হতে পারে। উপন্যাসটা তিনি ১৯৩৩ সালের জানুয়ারি মাসে লেখা শেষ করেন। বেঙ্গল পাবলিকেশনস সংস্করণের আগে এটি ২০০৪ সালে ‘চারজন’ নামে প্রকাশিত হয়। তখন ভূমেন্দ্র গুহের সঙ্গে এটি সম্পাদনা করেন ফয়সাল শাহরিয়ার। বেঙ্গল পাবলিকেশনস এটা জীবনানন্দ দাশের আরো তিনটা উপন্যাস আর একটা ভূমিকার সঙ্গে ভূমেন্দ্র গুহের সম্পাদনায় এটার মূলানুগ পাঠ ‘আমরা চারজন’ নামে প্রকাশ করেছে।উপন্যাসের প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী রফিকুন নবী। ‘আমরা চারজন’ মূলত চারজন বন্ধুর কাহিনি। শ্যামল, শুরুতে যে নাম পুরুষ, কাহিনির বর্ণনা করে। তারপর অনাথ। তারপর সুধামাধব আর উষা। কবিতার সুতা ধরে উষা সুধা মাধবের সঙ্গে দেখা করে একদিন। তাদের মধ্যে বলা যায় বন্ধুতার সম্পর্ক তৈরি হয়। সুধামাধবের মাধ্যমেই শ্যামল আর অনাথের সঙ্গে উষার পরিচয় হয়। তারপর বন্ধুত্ব। এরা চারজনেই লেখক, আর পরিণত বয়সের এবং উচ্চশিক্ষিত। এরা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, সাহিত্য-সমালোচনা সবই লেখে। তবে সাহিত্য-সমালোচনা ছাড়া কেউই অন্য কোনো লেখা ছাপতে দিতে চায় না, দিলেও ছাপে না কেউ। কিন্তু স্বপ্ন দেখে। এরা বেকার, তবে টিউশন করে। চাকরিও খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু চাকরি পায় না। তারপরও বড় বড় স্বপ্ন দেখে, লিখে টাকা কামাবে, বড় লোক হবে ইত্যাদি। যাই হোক, একদিন রোগে ভুগে এইসব স্বপ্ন চোখে নিয়ে অনাথ মারা যায়। মৃত্যুর আগে আগে অনাথ স্বপ্ন দেখেছিল উষাকে বিয়ে করার। বন্ধুদের সেবা নেয়ার চেয়ে স্ত্রী কন্যার সেবা পাবার লোভ ছিল তার মধ্যে, ছিল অফুরান জীবনতৃষ্ণা।
আমরা চারজন : মূলানুগ পাঠ। মূল পাণ্ডুলিপি অনুসারে যত্ন ও মমতা নিয়ে সম্পাদনা করেছেন ভূমেন্দ্র গুহ। জানা যায়, জীবনানন্দ দাশের উপন্যাসগুলির মধ্যে এই উপন্যাসটার প্রতি তাঁর আলাদা ভালো লাগা ছিল। এটা জীবনানন্দ দাশের প্রথমদিককার উপন্যাস খুব সম্ভবত, প্রথম উপন্যাসও হতে পারে। উপন্যাসটা তিনি ১৯৩৩ সালের জানুয়ারি মাসে লেখা শেষ করেন। বেঙ্গল পাবলিকেশনস সংস্করণের আগে এটি ২০০৪ সালে ‘চারজন’ নামে প্রকাশিত হয়। তখন ভূমেন্দ্র গুহের সঙ্গে এটি সম্পাদনা করেন ফয়সাল শাহরিয়ার। বেঙ্গল পাবলিকেশনস এটা জীবনানন্দ দাশের আরো তিনটা উপন্যাস আর একটা ভূমিকার সঙ্গে ভূমেন্দ্র গুহের সম্পাদনায় এটার মূলানুগ পাঠ ‘আমরা চারজন’ নামে প্রকাশ করেছে।উপন্যাসের প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী রফিকুন নবী। ‘আমরা চারজন’ মূলত চারজন বন্ধুর কাহিনি। শ্যামল, শুরুতে যে নাম পুরুষ, কাহিনির বর্ণনা করে। তারপর অনাথ। তারপর সুধামাধব আর উষা। কবিতার সুতা ধরে উষা সুধা মাধবের সঙ্গে দেখা করে একদিন। তাদের মধ্যে বলা যায় বন্ধুতার সম্পর্ক তৈরি হয়। সুধামাধবের মাধ্যমেই শ্যামল আর অনাথের সঙ্গে উষার পরিচয় হয়। তারপর বন্ধুত্ব। এরা চারজনেই লেখক, আর পরিণত বয়সের এবং উচ্চশিক্ষিত। এরা গল্প, উপন্যাস, কবিতা, সাহিত্য-সমালোচনা সবই লেখে। তবে সাহিত্য-সমালোচনা ছাড়া কেউই অন্য কোনো লেখা ছাপতে দিতে চায় না, দিলেও ছাপে না কেউ। কিন্তু স্বপ্ন দেখে। এরা বেকার, তবে টিউশন করে। চাকরিও খুঁজে বেড়ায়, কিন্তু চাকরি পায় না। তারপরও বড় বড় স্বপ্ন দেখে, লিখে টাকা কামাবে, বড় লোক হবে ইত্যাদি। যাই হোক, একদিন রোগে ভুগে এইসব স্বপ্ন চোখে নিয়ে অনাথ মারা যায়। মৃত্যুর আগে আগে অনাথ স্বপ্ন দেখেছিল উষাকে বিয়ে করার। বন্ধুদের সেবা নেয়ার চেয়ে স্ত্রী কন্যার সেবা পাবার লোভ ছিল তার মধ্যে, ছিল অফুরান জীবনতৃষ্ণা।