নীরদ সি চৌধুরী জন্মেছিলেন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম লেখক নীরদ সি চৌধুরী সাহিত্যজীবন শুরু করেছিলেন আলোচিত বিদ্রুপাত্মক পত্রিকা শনিবারের চিঠিতে লেখালেখির মধ্য দিয়ে। যদিও বাংলা ভাষায় চারটি বই লিখেছেন, তবু তাঁর পরিচিতি মূলত ইংরেজী ভাষার লেখক হিসাবেই। সমালোচকেরা তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তাঁবেদার কিংবা ঔপনিবেশিক দোলাচালের নমুনা হিসাবে দেখতেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু, নীরদের লেখার যারা ভক্ত তারা তাঁর পাণ্ডিত্য আর ভাষা ব্যবহারে মুন্সিয়ানার প্রশংসা করেন, তাঁর দার্শনিকতার প্রশংসা করেন।
কিশোরগঞ্জে জন্ম নিয়েও কেন নীরদ সুদূর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নিলেন? কেনই বা তিনি আপন সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঔপনিবেশিক শাসকের সংস্কৃতির জন্য দেওয়ানা হলেন? ইয়ান অ্যালমন্ড এই সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে চেষ্টা করেছেন। এসব ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছে মনোবিশ্লেষণ তত্তে¡র, উত্তর-ঔপনিবেশিক তত্তে¡র, মার্ক্সবাদের, ‘অ্যাফেক্ট থিওরি’ বা দেহাবেগ তত্ত্বের, এবং ইতিহাসবাদের। এখন পর্যন্ত নীরদ চৌধুরীকে নিয়ে যতগুলো বই লেখা হয়েছে, নীরদ সি চৌধুরীর মন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তথ্যবহুল এবং গভীর। সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন কিংবা রাজনীতিতে আগ্রহ আছে, কিংবা গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন এমন যে কোনো পাঠকের জন্যই এই বই গুরুত্বপূর্ণ।
Language
Bengali
Pages
217
Format
Hardcover
Release
February 01, 2020
ISBN 13
9789845063265
নীরদ সি চৌধুরীর মন: ইসলাম, সাম্রাজ্য ও হারানোর বেদনা
নীরদ সি চৌধুরী জন্মেছিলেন তৎকালীন পূর্ববঙ্গের কিশোরগঞ্জে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম লেখক নীরদ সি চৌধুরী সাহিত্যজীবন শুরু করেছিলেন আলোচিত বিদ্রুপাত্মক পত্রিকা শনিবারের চিঠিতে লেখালেখির মধ্য দিয়ে। যদিও বাংলা ভাষায় চারটি বই লিখেছেন, তবু তাঁর পরিচিতি মূলত ইংরেজী ভাষার লেখক হিসাবেই। সমালোচকেরা তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তাঁবেদার কিংবা ঔপনিবেশিক দোলাচালের নমুনা হিসাবে দেখতেই বেশি আগ্রহী। কিন্তু, নীরদের লেখার যারা ভক্ত তারা তাঁর পাণ্ডিত্য আর ভাষা ব্যবহারে মুন্সিয়ানার প্রশংসা করেন, তাঁর দার্শনিকতার প্রশংসা করেন।
কিশোরগঞ্জে জন্ম নিয়েও কেন নীরদ সুদূর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আশ্রয় নিলেন? কেনই বা তিনি আপন সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ঔপনিবেশিক শাসকের সংস্কৃতির জন্য দেওয়ানা হলেন? ইয়ান অ্যালমন্ড এই সব প্রশ্নেরই জবাব দিতে চেষ্টা করেছেন। এসব ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তাঁকে আশ্রয় নিতে হয়েছে মনোবিশ্লেষণ তত্তে¡র, উত্তর-ঔপনিবেশিক তত্তে¡র, মার্ক্সবাদের, ‘অ্যাফেক্ট থিওরি’ বা দেহাবেগ তত্ত্বের, এবং ইতিহাসবাদের। এখন পর্যন্ত নীরদ চৌধুরীকে নিয়ে যতগুলো বই লেখা হয়েছে, নীরদ সি চৌধুরীর মন সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে তথ্যবহুল এবং গভীর। সাহিত্য, ইতিহাস, দর্শন কিংবা রাজনীতিতে আগ্রহ আছে, কিংবা গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন এমন যে কোনো পাঠকের জন্যই এই বই গুরুত্বপূর্ণ।